শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা বিভিন্ন কারণেই বাংলাদেশের অন্যতম একটি বিখ্যাত উপজেলা। এ উপজেলার মাটিও মায়েরা বেশ গর্বিত। কারণ তারা শুধু স্থানীয় নেতৃ্ত্বই জম্ম দেননি; পাশাপাশি তারা জাতীয় নেতৃত্ব জম্ম দিয়েছেন। তারই বদৌলতে তারা পেয়েছেন আধুনিক একটি জেলা। সঙ্গত কারণেই উপজেলাগুলোতে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। আমার অনেক শুভাকাংখীরা বেশ কিছুদিন যাবৎ বলা শুরু করেছেন, ওই অঞ্চলে কিছু পাকা সড়কের বেহাল দশা। আমি উন্নয়নের কথা বললেই তারা ভাঙ্গা রাস্তার ছবি কমেন্টস বক্সে পাঠিয়ে দেন। মাঝেমধ্যে আমি বিস্মৃত হলেও আবার ভালোও লাগে। বুঝতে পারি আমার ফেসবুক বন্ধুরা যত্ন সহকারে আমার লেখাটি পড়েন।
১৯৯৬ সালে জনগণের রায় নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং বঙ্গবন্ধুর আদরের আব্দুর রাজ্জাকের কাঁদে তুলে দেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। একদিকে ভারতের সাথে ঐতিহাসিক গঙ্গা পানি চুক্তি সম্পাদন। অন্যদিকে নিজ জন্মভূমি পশ্চাৎপদ শরীয়তপুর জেলাকে উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় রূপ দেয়া। দুটো বিষয়ই ছিল জননেতার কাছে বেশ চ্যালেঞ্জিং। আব্দুর রাজ্জাক এমন একজন জাতীয় নেতা ছিলেন যে, তিনি যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে জয়ী হতে পারতেন এবং হয়েছেনও তাই। ওই সরকারের আমলে ঐতিহাসিক গঙ্গা পানি চুক্তি সম্পাদন হয়েছিল। আর শরীয়তপুরের উন্নয়নে আব্দুর রাজ্জাকের অবদান সম্পর্কেতো আমরা কম- বেশি সবাই জানি। সে অনেক লম্বা ইতিহাস।
২০১১ সালে ২৩ ডিসেম্বর শুধু আধুনিক শরীয়তপুরের রূপকার হিসেবেই খ্যাত নয়; শরীয়তপুরবাসীর একজন অভিভাবক হিসেবেও বহুল আলোচিত সকলের প্রিয়নেতা আব্দুর রাজ্জাক লন্ডনের কিংস কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। জতীয় নেতা আব্দুর রাজ্জাক এর মৃত্যুতে গোটা জাতি শোকাহত হয়ে পড়েছিল। সেইদিন গুলোতে পাড়ায়, মহল্লায়, অফিস, আদালতে, চায়ের দোকান সহ সর্বত্রই ছিল শুধু আব্দুর রাজ্জক এর আলোচনা। বলতে গেলে আবেগময়ী হয়ে পড়েছিল প্রায় পুরো জাতি। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর নির্বাচনী আসন থেকে তাঁরই রক্তের উত্তরসূরি নাহিম রাজ্জাক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তখন কিন্তু উপনির্বাচনগুলোতে বিএনপি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। ওই অঞ্চলের সাধারণ মানুষের আবেগ অনুভূতি এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে, জাতীয় নেতার সন্তানের সাথে তৎকালীন বিরোধী দলের কোনো নেতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সাহস পর্যন্ত পাননি।
২০১৪ সালে তরুণ সাংসদ জনাব নাহিম রাজ্জাক বাংলার গণমানুষের নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার আস্থা ও বিশ্বাস পুরোপুরি অর্জন করতে সক্ষম হন এবং নিজ যোগ্যতার পরিচয় বহন করেই তিনি দলীয় নমিনেশন অর্জন করেন। সেই পর্বেও জননেতা জনাব নাহিম রাজ্জাক পিতার আশীর্বাদের কারণেই পুণরায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে জয় লাভ করেন। জ্ঞানী – গুনিরা এ বিষয়টিকে খুবই সম্মানজনক মনে করলেও প্রতিপক্ষরা ভিন্ন খাতে প্রবাবিত করার চেষ্টা করেন। এগুলো অবশ্য হালে পানি পাওয়ার মতো নয়; তরুণ সাংসদ জননেতা জনাব নাহিম রাজ্জাকও শক্তভাবেই তার নির্বাচনী এলাকার হাল ধরেছেন। তার নির্বাচনী আসনের তিন উপজেলাতে আওয়ামী লীগ সহ সকল সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনের মাধ্যমে সুশৃঙ্খল ভাবে কমিটি উপহার দিয়েছেন। প্রতিটি সম্মলনে জাতীয় নেতাদের পদাচারণা ঘটিয়েছেন তার নির্বাচনী এলাকায়। উন্নয়ন অগ্রযাত্রাও অত্যন্ত সফলভাবে অব্যাহত রেখেছেন।
তিন উপজেলার সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য হাসপাতালগুলোকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করেছেন। গোসাইরহাটে শামসুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে একাধিক বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন। ইদিলপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণ করেছেন। গোসাইরহাট উপজেলার সাথে সরাসরি কুচাইপট্রি ইউনিয়নের সংযোগ ঘটানোর নিমিত্তে পদ্মার শাখা নদীর উপর ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রিজ নির্মাণ করেছেন। শামন্তসার ইউনিয়নের বাংলা বাজার নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণ করেছেন। গোসাইরহাট পৌরসভায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবণ নির্মাণ করেছেন। কোদালপুর ইউনিয়নে চরাঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য ১০ শয্যা বিশিষ্ট মাও শিশু হাসপাতাল নির্মাণ করেছেন। নলমুড়ি ইউনিয়নের হাটুরিয়াতে ১০ শয্যা হাসপাতালের টেন্ডার প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন হওয়ার পথে। তিন উপজেলার পুলিশ স্টেশনগুলো আধুনিকায়ন করা হয়েছে।
বাংলাদেশে সরকারিভাবে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিদুৎ এর চাহিদা মেটানোর জন্য সরকার দুটি পাওয়ার প্লান্ট প্রকল্প নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। তার একটি শরীয়তপুর -৩ নির্বাচনী এলাকায় নির্মিত হবে। বরিশালের সাথে শরীয়তপুরের চলাচল সহজলভ্য করার জন্য আবুপুর থেকে মুলাদী ফেরী ঘাট নির্মাণ করেছেন। ডামুড্যা উপজেলার পূর্ব ডামুড্যাতে পদ্মার শাখা নদীর উপর প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রিজ নির্মাণ করেছেন। ধানকাটি ইউনিয়নে ১০ শয্যা বিশিষ্ট মাও শিশু হাসপাতালের টেন্ডার প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন হওয়ার পথে।
এই তিন উপজেলায় সকল স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সন্তোষজনকহারে উন্নয়ন করছেন। স্কুলগুলোতে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করার কার্যক্রম ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছেন । তারই বহি:প্রকাশ ঘটেছে উপজেলার দারুল আমানে। আমাদের তরুণ সাংসদ জনাব নাহিম রাজ্জাক দারুল আমান ইউনিয়নের দারুল আমান উচ্চ বিদ্যালয়ে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপনের মধ্যদিয়ে ডিজিটাল শরীয়তপুর বির্ণিমানে আরো একধাপ এগিয়ে নিলেন।
লেখক:বোরহান উদ্দিন, ডামুড্যা উপজেলা আওয়ামী লীগ এর প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক।
বঙ্গবন্ধু স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্বোধন
Admin 100+Torch rally of Bangabandhu Inter-University champ inaugurated
Admin 100+Torch rally of Bangabandhu Inter-University Sports begins
Admin 100+সোনার মানুষের খোঁজে বঙ্গবন্ধু আন্তবিশ্ববিদ্যালয় চ্যাম্পিয়নশিপ
Admin 100+